মায়ের হাত ধরে প্রথমবারের মতো পয়লা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় এসেছে সহোদর আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান। শোভাযাত্রার বাঁধভাঙা উল্লাস শেষে মুখে রংতুলির আঁচড়ে ‘শুভ নববর্ষ’ লেখার আবদারও পূরণ হলো। তাই তাদের খুশির যেন শেষ নেই।একই অনুভূতি বাবার হাত ধরে শোভাযাত্রায় আসা সহোদর মৃন্ময় ও বিশঙ্কেরও। গাল রঙিন করার পর হাতে চরকি নিয়ে তারাও জানালো আনন্দ অনুভূতির কথা।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে এমন চিত্র দেখা গেছে।সরেজমিনে দেখা যায়, বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা কেবল বড়দের মিলনমেলাই নয়, বরং কচিকাঁচাদের নির্মল হাসিতেও মুখর হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে গালে ‘শুভ নববর্ষ’ লেখা শিশুদের উচ্ছ্বাস আর খুশি বিশেষভাবে নজর কেড়েছে।পাঁচ বছরের শিশু বিশাঙ্কের গালে ছিল আলপনার রঙিন নকশা। ছোট এই শিশু অনুভূতি জানিয়ে বলে, খুব মজা লেগেছে। গালে শুভ নববর্ষ লিখেছি। চরকি কিনেছি। মেলা ঘুরে দেখেছি। খুব ভালো লাগছে, আনন্দ লাগছে।
বিশাঙ্কের বাবা জানান, তারা লালবাগ থেকে শোভাযাত্রায় অংশ নিতে এসেছেন। মেলায় ঘোরাঘুরি করা আর এই আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া শিশুদের কাছে এক বিশেষ আনন্দের ব্যাপার। তাই তাদের নিয়ে এসেছি।আব্দুর রহমান নামের আরেক শিশু বলে, অনেক ভালো লেগেছে। ঘোড়া দেখেছি। অনেক ঢাকঢোল ছিল, খুব আনন্দ হয়েছে। তাদের বাবা-মায়ের হাত ধরে উৎসবে শামিল হয়েছে আরও অনেক শিশু। তাদের কারো হাতে ছিল বৈশাখী খেলনা, চরকি, আবার কারো মুখে ছিল রংতুলির আঁচড়।
এর আগে সকাল ৯টায় ঢাবির চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ শুরু হয়। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন